প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৈচিত্রের লীলাভূমি মনোময় ময়মনসিংহ। এ জনপদের আছে দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সমাজ সংস্কার-শিল্প-সাহিত্য-সাংবাদিকতা-শিক্ষা-রাজনীতি-চিকিৎসাসহ নানা অঙ্গনে কালপরিক্রমায় যুগে যুগে মানুষের অংশগ্রহণ যেমন অনিবার্য ছিলো একইভাবে অংশগ্রহণকারী বিপুল জনগোষ্ঠী থেকে কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক'জন ব্যক্তিত্বের পরিচয় নিচে তুলে ধরা হলোঃ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামঃজন্ম ১৯২৫, মৃত্যু ৩ নভেম্বর ১৯৭৫। শিক্ষাবিদ-আইনজীবী ও রাজনীতিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরোধা পুরুষ। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ১৯৭১-এ তিনি নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বিপ্লবী সরকারকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হবার পর ৩রা নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত চার জাতীয় নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
আনন্দ মোহন বসুঃজন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৪৭, মৃত্যু ২০ আগস্ট ১৯০৬। জন্মস্থান জয়সিদ্ধি, ইটনা, কিশোরগঞ্জ। পিতা- পদ্মলোচন বসু। শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সমাজসেবক, রাজনীতিক ও সংগঠক। আব্দুল ওয়াহেদ বোকাইনগরীঃজন্ম উনবিংশ শতকের শেষার্ধ। জন্মস্থান বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ। রাজনীতিক ও সুবক্তা। আব্দুল জব্বারঃজন্ম ১৯১৯, মৃত্যু ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। জন্মস্থান পাঁচুয়া, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ। ভাষা আন্দোলনে শহীদ আব্দুল জববার ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মুত্যুবরণ করেন। ২০০০ সালে তাকে মরণোত্তরএকুশে পদকে ভূষিত করা হয়। আব্দুল জব্বার শেখঃজন্ম ১৮৮১, মৃত্যু ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮। জন্মস্থান বনগ্রাম, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ। সাহিত্যিক ও সমাজসেবী। অসংখ্য ধর্মীয় গ্রন্থের রচয়িতা। আব্দুল হাই মাশরেকীঃজন্ম ১ এপ্রিল ১৯১৯, মৃত্যু ১৯৯২। জন্মস্থান দত্তপাড়া, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ। পিতা- উছমান গনি সরকার। কবি, গীতিকার, নাট্যকার ও গল্পকার। খান সাহেব আব্দুল্লাহঃজন্ম ১৮৯৮, মৃত্যু ১৯৮৩। জন্মস্থান নাওরা, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ। পিতা- আলী নেওয়াজ আহম্মদ। লেখক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংগঠক। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-শুক্রবাসরীয় সাহিত্য সংসদ। ‘মোমেনশাহীর নতুন ইতিহাস' গ্রন্থের রচয়িতা। আবুল কালাম শামসুদ্দিনঃজন্ম ৩ নভেম্বর ১৮৯৭, মৃত্যু ৪ মার্চ ১৯৭৮। জন্মস্থান ধানিখোলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ। সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সাহিত্যিক। আবুল মনসুর আহমদঃজন্ম ৩ নভেম্বর ১৮৯৮, মৃত্যু ১৮ মার্চ ১৯৭৯। জন্মস্থান ধানিখোলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ। পিতা- আব্দুর রহিম ফরাজী। পৈতৃক নাম আহমদ আলী ফরাজী। আইনজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যঙ্গ সাহিত্যিক। পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন। মোঃ আলতাব আলীঃজন্ম ১৯০৭, মৃত্যু ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০। জন্মস্থান সেহড়া ময়মনসিংহ। পিতা- ডেঙ্গু ব্যাপারী। প্রগতিশীল রাজনীতিক আন্দালনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। কলম আলী উকিলঃজন্ম ১৯০২, মৃত্যু ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৩। জন্মস্থান ঈশ্বরগ্রাম, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ। পিতা মোঃ আলিম উদ্দিন মীর্জা। আইনজীবী সমাজসেবী ও রাজনীতিক। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (১৯৫৪)। কেদার নাথ মজুমদারঃজন্ম ২৬ জৈষ্ঠ ১২৭৭, মৃত্যু ৬ জৈষ্ঠ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। পিতা লোকনাথ মজুমদার। লেখক, সংস্কৃতি সংগঠক, সাংবাদিক, ঐতিহ্য অনুসন্ধানী। মৈমনসিংহ গীতিকা'র সংগ্রাহক। গোলাম সামদানী কোরায়শীঃজন্ম ৬ এপ্রিল ১৯২৯, মৃত্যু ১১ অক্টোবর ১৯৯১। শিক্ষাবিদ-চিন্তাবিদ-পন্ডিত ও লেখক। শিক্ষক নেতা। প্রগতিশীল চিন্তার পুরোধা ব্যক্তিত্ব। অসংখ্য গ্রন্থের প্রণেতা। রাজা জগৎ কিশোর আচার্য চৌধুরীঃজন্ম ১২৬৯, মৃত্যু ২২ চৈত্র ১৩৪৫। মুক্তাগাছার মহৎপ্রাণ জমিদার। তাঁর দানশীলতা কিংবদন্তীতুল্য। শিল্পাচার্যজয়নুল আবেদিনঃজন্ম ২৯ ডিসেম্বর ১৯১৪, মৃত্যু ২৮ মে ১৯৭৬। ১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলার মন্বন্তরের আঁকা তার স্কেচসমূহ বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করে। বাংলাদেশে তিনি আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ। চারুকলা ইনস্টিটিউট, সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং ময়মনসিংহ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্রকর। সর্বভারতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে স্বর্ণপদক (১৯৩৮), রকফেলার ফাউন্ডেশন ফেলোশীপ (১৯৫৬-৫৭), পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রাইড অফ পারফরমেন্স (১৯৫৯), মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পদক, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় হতে সম্মান্সূচক ডক্টরেটে ভূষিত হন। ডক্টর জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাঃজন্ম ১০ জুলাই ১৯২০, মৃত্যু ২৭মার্চ ১৯৭১। জন্মস্থান ময়মনসিংহ সদর, ময়মনসিংহ। শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭১ সালে র ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রান্ত হলে জগন্নাথ হলের আবাসিক ভবনে থাকাকালে গুলিবিদ্ধ হন এবং ২৭ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। নলিনীরঞ্জন সরকারঃজন্ম ১৮৮২, মৃত্যু ২৫ জানুয়ারি ১৯৫৩। পিতা- চন্দ্রনাথ সরকার। ১৯৫৩-এ যুক্তবঙ্গে ফজলুল হক মন্ত্রী সভায় অর্থমন্ত্রী, ১৯৪১-এ শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও ভূমিমন্ত্রী এবং ১৯৪৩-এ বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রী। ১৯৪৮-এ পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী এবং ১৯৪৯-এ অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ব্রহ্মপুত্র তীরে তার বাসভবনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা। মনোরঞ্জন ধরঃজন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯০৪, মৃত্যু ১৯৮৬। পিতা- জগৎচন্দ্র ধর। আইনজীবী ও রাজনীতিক। কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীসভার আইনমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুজিবুর রহমান খান ফুলপুরীঃজন্ম ১৮৮৯, মৃত্যু ৫ জানুয়ারি ১৯৬৯। জন্মস্থান পাগলা, ফুলপুর, ময়মনসিংহ। পিতা- সরল খাঁ। সাংবাদিক-রাজনীতিক ও সুবক্তা। সাপ্তাহিক চাষী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। মোস্তফা এম এ মতিনঃজন্ম ১ আগস্ট ১৯৩৪, মৃত্যু ২০০৪। জন্মস্থান সাতেঙ্গা, ভালুকা, ময়মনসিংহ। আইনজীবী-রাজনীতিক ও সমাজসেবী। ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় পরিষদ সদস্য। রফিক উদ্দিন ভূঞাঃজন্ম ২৫ জানুয়ারি ১৯২৬, মৃত্যু ১৯৯৪। পিতা- ওয়াফিজ ভূঞা। জন্মস্থান মেরেঙ্গা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ। রাজনীতিক-সংগঠক ও সমাজসেবী। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি আন্দোলনে ময়মনসিংহে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন ময়মনসিংহের অবিসংবাদিত নেতা। একাধিক বার জাতীয় সংসদ সদস্য। শামসুল হুদা পাঁচবাগীঃজন্ম ১৮৬৯, মৃত্যু ৮ আক্টোবর ১৯৮৮। জন্মস্থান পাচবাগ, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ। পিতা- মওলানা রিয়াজ উদ্দিন আহম্মদ। ধর্মীয় আলেম, পীর, রাজনীতিক ও সমাজসেবী। বিজ্ঞানমনষ্ক আলেম হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়।
উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও নানান বিবেচনায় নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গের নাম ময়মনসিংহের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সেইসব বীর সন্তানেরা, যারা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন অথবা সাহসিকতার সাথে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশমাতৃকার জন্য লড়াই করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলার সমসাময়িক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের তালিকা বেশ দীর্ঘ। নিচে বিভিন্নক্ষেত্রে সমসাময়িক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করা হলো। শিক্ষাক্ষেত্রেঃমহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী, সৈয়দ বদরুদ্দিন হোসাইন, গোপীনাথ দত্ত, সোফিয়া খান, আশুতোষ পাল, আ আ ম আবদুশ শাকুর, অধ্যক্ষ আবদুল হাই, আজিমুদ্দিন মাস্টার, ব্রজেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত প্রমুখ। সাহিত্যক্ষেত্রেঃহেলেনা খান, গোলাম সামদানী কোরায়শী, যতীন সরকার, আবদুল হাই আল হাদী, শহীদ আখন্দ, হারুন অর রশিদ, নীলু দাস প্রমুখ। সঙ্গীত ক্ষেত্রেঃবজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী, বীরেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী, উপেন্দ্র রায়, বিপিন দাস, গৌরাঙ্গ আদিত্য, করুণাময় গোস্বামী, আলোকময় নাহা, বদরুল হুদা, মিথুন দে, বাদল চন্দ, ইমদাদুল হক, ধীরেশ আচার্য, বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, কেনুরায়, কেশব বন্দোপাধ্যায়, নাজিরুল ইসলাম মনি, সুমিতা নাহা, সমীর চন্দ কটন, আবদুল নঈম, মোতাহার হোসেন বাচ্চু, নূরুল আনোয়ার, আবদুর রশীদ মিয়া, বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, সুনীল ধর, সুনীল কর্মকার, সারোয়ার চৌধুরী, পবিত্র দে, মিতালী মুখার্জী, শাহাবুদ্দিন আহম্মদ খান, আফজালুর রহমান জিতু প্রমুখ। নৃত্যক্ষেত্রেঃপীযূষ কিরণ পাল, যোগেশ চন্দ্র দাস, ইউনুস আহমেদ বাবলু প্রমুখ। নাট্যক্ষেত্রেঃওসমান গনী মহারাজ, সুধীর দাস, এ এফ এম আব্দুল আলী লালু, সিরাজুল হক মন্টু, এম এম ফেরদৌসী, আশীষকুমার লৌহ, এম এন আলম তোতা, রুস্তম আলী মাস্টার, মোয়াজ্জেম হোসেন, এম এ করিম, ছাদেকুর রহমান ছাদু, আউলাদ হোসেন তারা, ফজর আলী, আকরাম আলী, এ এফ এম বদরুজামান, মাহমুদ সাজ্জাদ, প্রদ্যুত সেন, অরবিন্দ সরকার জীবন, গোলাম রফিক প্রমুখ। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেঃমাখনলাল লাহিড়ী, মোমতাজ উদ্দিন, সৈয়দ আহমেদ, এ জেড এম হাবিবুল্লাহ প্রমুখ। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেঃহযরত বোরহান উদ্দীন (রঃ) (বুড়াপীর), মওলানা মো: আশরাফ আলী (জামিয়া ইসলামিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ), মওলানা নূরুল ইসলাম (জামিয়া আশরাফিয়ার অধ্যক্ষ), মওলানা মুজীবুর রহমান (জামিয়া ইসলামিয়ার প্রাক্তন অধ্যক্ষ) প্রমুখ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাজার কেন্দ্রিক আউলিয়া দরবেশগণ বিভিন্ন মহলে ভক্তদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ এবং গ্রহণীয়। ময়মনসিংহ জেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মাজার এবং কয়েকজন উল্লেখযোগ্য আধ্যাত্মিক সাধকের কথা তুলে ধরা হলোঃ
হযরত ছমির উদ্দিন মীর (রঃ) ও হযরত খমির উদ্দিন মীর (রঃ)- দুজন পিতা-পুত্র। দুজনের মাজার শম্ভুগঞ্জ বাজার পেরিয়ে নেত্রকোনা সড়কের পাশে শতবর্ষী বিশাল বকুল তলায়। প্রতিবছর ৩০শে ফাল্গুন থেকে ২ দিন ব্যাপী ওরশ অনুষ্ঠিত হয় এখানে। দিন রাত ধরে চলে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, বাউল ও মুর্শিদী গান।
চুপশাহ (রঃ)- চিশতিয়া তারিকার পীর চুপশাহ (র:)-এর মাজার পুলিশলাইনে, ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল সড়কের পাশে।
হযরত খাজা সাইফুদ্দিন মুজাদ্দেদিয়া (রঃ)- শম্ভুগঞ্জে লালকুঠির পীর হযরত খাজা ইফসুফ আলী এনায়েতপুরীর পুত্র হযরত খাজা সাইফদ্দিন (র:) ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে এসে খানকা চালু করেন গত শতকের মাঝামাঝি।
হযরত কেরামত আলী শাহ্ (রঃ)- শানকিপাড়া মাজার রোডে রয়েছে কেরামত আলী শাহ্ মাজার।
হযরত বসরত উল্লাহ (মেদিনীপুরী)- নওমহল এলাকায় শরিয়ত পন্থি পীর বসরত উল্লাহ ভক্তদের মাঝে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টিতে সক্ষম হন।
মেছেন ফকিরঃ শম্ভুগঞ্জ বাজারের আগে তিতুমীরের বাঁশের কিল্লার আদলে মেছেন ফকিরের মাজার।
এছাড়া ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলার মাওলানা আব্বাস আলী বিশিষ্ট আলেম হিসাবে খুবই সমাদৃত ছিলেন। সমাজসেবা ক্ষেত্রেঃখান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল, ডাঃ কে জামান, সোফিয়া করিম, এডভোকেট এম জোবেদ আলী, এডভোকেট আনিসুর রহমান খান প্রমুখ। রাজনীতি ক্ষেত্রেঃমৌলানা আলতাব হোসেন, জ্যোতিষ বসু, মনোরঞ্জন ধর, মহাদেব সান্যাল, সৈয়দ আবদুস সুলতান, মোঃ শামছুল হক, মোক্ষদাচরণ দাস, শামসুল হুদা চৌধুরী, মীর কফিল উদ্দিন লাল মিয়া, এডভোকেট ঈমান আলী প্রমুখ। অন্যান্য ক্ষেত্রেঃবিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী (সাবেক রাষ্ট্রপতি), বিচারপতি আবদুর রউফ (সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার), প্রশাসনে নুরুল কাদের খান ও ড. শাহ্ মোহাম্মদ ফরিদ, ম হামিদ (সংস্কৃতি), সৈয়দ লুৎফুল হক (চিত্রশিল্পী), অধ্যাপক শাহতাব উদ্দিন আহমেদ (চিত্রশিল্পী), দেবীনাস সাংমা (বিশিষ্ট ফুটবলার), শহীদ শাহেদ আলী (ক্রীড়াবিদ), অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (ফুটবলার ও সংগঠক), নাইব উদ্দীন আহমেদ (আলোকচিত্রী), শহীদ আনোয়ার হোসেন সুরুজ (ক্রীড়াবিদ), এল রহমান মাখন (ক্রীড়াবিদ) প্রমুখ।
|
|
|